নেপাল ও ভুটানের জলবিদ্যুৎ পাওয়ার জন্য নতুন গ্রিড তৈরির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেছেন মুহাম্মদ ইউনূস।”
প্রকাশিত:
বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪
৩০
বার পড়া হয়েছে
নেপাল ও ভুটানের জলবিদ্যুৎ পাওয়ার জন্য নতুন গ্রিড তৈরির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেছেন মুহাম্মদ ইউনূস।
নেপাল ও ভুটানের জলবিদ্যুৎ পাওয়ার জন্য নতুন গ্রিড তৈরির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেছেন মুহাম্মদ ইউনূস।
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ও বণ্টনের জন্য একটি নতুন গ্রিড নির্মাণের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। বুধবার বাকুতে তিনি জানান, প্রস্তাবিত এই গ্রিড দক্ষিণ এশিয়ার চার দেশ—ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভুটানের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
সম্মেলনের ফাঁকে সামাজিক বিজনেস গ্রুপের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে ড. ইউনূস বলেন, চার দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ গ্রিডের অভাবে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশগুলোর জলবিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না।
আলোচনায় নেপালের প্রতিনিধিরা জানান, তাদের দেশে ৪০ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে, যা ভারত ও বাংলাদেশের জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে। এ সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার জন্য একটি অভিন্ন গ্রিড তৈরির বিষয়টি ভারত, নেপাল, ভুটান এবং বাংলাদেশের গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত। তিনি উল্লেখ করেন, এই গ্রিড থাকলে বাংলাদেশ সহজেই নেপাল থেকে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ আমদানি করতে পারবে, কারণ বাংলাদেশ ও নেপালের দূরত্ব প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। গ্রিড স্থাপন হলে নেপালের জলবিদ্যুৎ বাংলাদেশের জন্য আরও সহজলভ্য হয়ে উঠবে। বর্তমানে বাংলাদেশ ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ পায়।
প্রধান উপদেষ্টা আরও মনে করিয়ে দেন, পানি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, এই সমস্যা সমাধানে পানিব্যবস্থাকে প্রকৃতিবান্ধব করে গড়ে তোলা প্রয়োজন। বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে পানিব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।